স্টাফ রিপোর্টারঃ মিজানুর রহমান দেশের বাড়ি ফেনী জেলায়, দীর্ঘদিন দিন কুয়েতে থাকার পর গত ২০০৯ সালে আকস্মিক উদাও।
এবার সেই পলাতক মিজানুর রহমানের খোঁজ পাওয়া গেলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে।
সম্প্রতি কথিত মিজানুর রহমানকে ফেসবুকে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে দেখা যায় বেশ সরব। ফলে একসময় কুয়েতে মিজানুর রহমান কর্তৃক প্রতারণার শিকার অনেকের নজরে আসে ফেসবুকে মিজানুর রহমানের প্রোফাইল।
এমনই পরিস্থিতিতে মিজানুর রহমান কর্তৃক প্রতারণার শিকার অনেকে তাদের অভিযোগ জানাতে ছুঠে আসেন কুয়েতে অগ্রদৃষ্টির প্রধান অফিসে। এক পর্যায়ে কুয়েত থেকে পলাতক সেই কুখ্যাত প্রতারক মিজানুর রহমান সম্পর্কে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক ঘটনা ও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মিজানুর রহমান কুয়েত ছেড়েছিলেন কুয়েতের সালমিয়া এলাকা সহ অন্যান্য এলাকায় বসবাসরত বেশ কিছু প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।
সেসময় ২০০৯ সালে কুয়েতে মিজানুর রহমানের দুর্নীতি ও আত্মসাতের বিষয়টি ছিল সর্বাধিক আলোচিত।
কুয়েতের সালমিয়া এলাকায় বসবাসরত এক প্রবাসী বাংলাদেশী বলেন, মিজানুর রহমান স্বভাব- চরিত্রের দিক দিয়ে ছিলেন একদম বাজে একজন লোক। তবে সে মিষ্টভাষী ও লোক দেখানোর ক্ষেত্রে উত্তম চরিত্রের অভিনেতা থাকার ফলে সাধারণ মানুষদেরকে আকৃষ্ট করতে খুবেকটা সময় ব্যয় হতোনা বলে জানান সেই প্রবাসী।
সেলিম আহমেদ নামে একজন কুয়েত প্রবাসী বলেন, মিজান কুয়েতে আমার একটি কাজ করিয়ে দেবে বলে আমার কাছ থেকে কুয়েতি ৬৫০ (দিনার) নিয়েছিল।
কিন্তু সেসময় হঠাৎ মিজান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ফলে আমার সেই কাজটি আর সম্পন্ন হয়নি, যেকারণে আমাকে প্রচুর টাকার লোকসান গুণতে হয়েছিল।
সেলিনা নামে একজন ট্রাভেল এজেন্সির সেল্স লেডি বলেন, আমার স্বামীর কাছ থেকে মিজান বেশ কিছু টাকা নিয়েছিল মিজানের (ওয়াস্তা) ব্যবহার করে (বিশেষ ব্যক্তির ক্ষমতা দেখিয়ে) আমার স্বামীর একটি কাজ করে দেবে।
কিন্তু সেই যে মিজান টাকা নিয়ে চলে গিয়েছিল, আজ পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি সে কোথায় আছে।
তবে সম্প্রতি ফেসবুকে তাকে দেখেছি।
মিজান সবসময় ফেনির জয়নাল হাজারীর পরিচয় দিয়ে বলতো, উনি আমার আত্মীয়।
বর্তমানে এই মিজানুর রহমান ঢাকার মতিঝিল এলাকায় বসবাস করছেন বলে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে।
মিজানুর রহমানের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে জেনিত ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর , কে-বাংলা বিজনেস ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, অনুভব সংগঠনের মহাসচিব ও অতি সম্প্রতি Timetouchnews24.com (TTN) নামে অনলাইন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে আত্বপ্রকাশ করেছেন।
যদিও বাংলাদেশে জেনিত ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্স ও কে-বাংলা বিজনেস ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠান গুলোর কোনো ভিত্তি নেই বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রে জানা গেছে।
এবং অনুভব সংগঠনে মিজানুর রহমানের মহাসচিব পদ পাওয়া বা প্রাপ্তি সম্পর্কে উক্ত সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাক্তার ফারহানা মোবিন খোদ জানিয়েছেন যে, মিজানুর রহমান উনাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এক পর্যায়ে মহাসচিব পদে আসীন হয়েছেন।
যে ব্যক্তি নিজের নামটি পর্যন্ত সঠিক করে লিখতে জানেনা; সেই ব্যক্তি দাবী করছে একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
এসম্পর্কে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রে জানাগেছে, মিজানুর রহমান এখন যেসব অসাধ্য কাজ’ই করছেন; তাতে স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তার ফারহানা মোবিনের সাহায্য ও সহযোগিতায় সম্ভব হচ্ছে।
ঐ সূত্রটি আরো জানিয়েছে, ডাক্তার ফারহানা মোবিন ব্যতীত মিজানুর রহমান এখন প্রায় অসহায়।
অন্যদিকে ডাক্তার ফারহানা মোবিন যদিও চাচ্ছেন যে, মিজানুর রহমান থেকে দূরে থাকতে; কিন্তু অজ্ঞাত কারণবশত তিনি সেটি করতে পারছেন না
(ধারবাহিক নিউজ-১) বিস্তারিত আসছে শীঘ্রই …